২০০৪ সালের পরে ফ্রান্সের স্কুলগুলোতে হিজাব নিষিদ্ধ করা হয়। সেটা ছিল মুসলিম নারীদের মানবাধিকার ও স্বাধীনতার উপরে ফ্রেঞ্চ সরকারের প্রথম ও সরাসরি আক্রমণ। ফ্রান্স নারীদের পন্য হিসাবে ব্যবহার করে। ফ্রান্সের একটা সামান্য পারফিউমের বিজ্ঞাপনে একটি আধা উলঙ্গ মহিলাকে দেখানো হয়। পারফিউমের সাথে কাপড় খোলার কোন সম্পর্ক নাই। উলঙ্গ মহিলা দেখলে সবাই তাকাবে তখন পারফিউমের দিকে দৃষ্টি যাবে তারপর সবাই সেই পারফিউম কেনা শুরু করবে। গ্রীষ্মকালে অনেক আধা উলঙ্গ নারি ফ্রান্সের রাস্তা দিয়া হেটে যায়। তাদের উলঙ্গ হবার স্বাধীনতায় কেউ হস্তক্ষেপ করেনা। কিন্তু যখন কেউ হিজাব পরিধান করে তখন ফ্রান্স সরকার ও জনগনের অনেক অসুবিধা লাগে। আমরা সবাই ন্যাংটা তোমরা কেনো শরীর ঢাকবা? অথবা আমরা পুঁজির মালিক। তোমাদের দেশ থেকে সম্পদ লুট করে আমরা উন্নত দেশ হয়েছি এখন আমরা যা বলবো তোমরা তা করবে। সেটাও একটা কথা । পুঁজিবাদী সমাজ যদি বলে সবাই ন্যাংটো হয়ে হেটে যাও – তাহলে সবাইকে ন্যাংটো হয়ে হেটে যেতে হবে। পুঁজিবাদী সমাজের কথা সাড়া বিশ্ব উঠে আর বসে। সাড়া বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দেশ কুত্তা পালা হচ্ছে পুঁজিবাদী সমাজের পদলেহন করার জন্য আর সেইসব দেশে খনিজ সম্পদ নিজেদের দেশে পাচারের জন্য।
নার্সারীর তিন বছরের একটি বাচ্চা ছেলে স্কুলের ফিল্ড ট্রিপে তার মাকে নিয়ে যেতে চেয়েছিল। কিন্তু হিজাব পরিধান করার অপরাধে স্কুলের সব ছেলেমেয়েদের সামনে সেই বাচ্চার মাকে অপমান করা হয়। স্কুল প্রধান বলে যে – ফ্রান্স ধর্ম নিরপেক্ষ দেশ। এখানে কেউ হিজাব পড়তে পারবেনা। তিন বছরের বাচ্চাটি কিছুই বুঝেনি । কেনো তার মাকে এইভাবে অপমান করা হলো আর কেন তাদের ফিল্ড ট্রিপে যেতে দেওয়া হলোনা।
“ সকল পাবলিক প্রতিষ্টান থেকে সড়ক, শিক্ষা প্রতিষ্টান, অফিস, বাজার থেকে হিজাব নিষিদ্ধ” করার জন্য ২০১১ সালে ফ্রেঞ্চ প্রধানমন্ত্রী ফ্রেঞ্চ পার্লামেন্টে একটি বিল পেশ করে।
হিজাব পরিধান করার অপরাধে ফ্রান্সের একটি নার্সারী স্কুলের শিক্ষককে চাকুরীচ্যুত করা হয়। সে কোর্টে গেলে কোর্টের রায় তার পক্ষে দেওয়া হয়। তখন ফ্রান্সের বিভিন্ন মহল এই বিচারপতিকে তিরস্কার করে। ফ্রেঞ্চরা মনে করে বাচ্চাদের সামনে হিজাব পরিধান করলে ওরা ভয় পাবে।
একজন হিজাব পরিহিতা গর্ববতী মহিলাকে ধাবকা দেওয়ার ফলে পরের দিন তার গর্ভপাত ঘটে। বিশ্বের নানা দেশে নানা সময়ে যুদ্ধ হবার কারণে সেই সব দেশের মুসলমানেরা ফ্রান্সে যেয়ে আশ্রয় নেয়। এর ভেতরে পালেস্টিনিয়ান, লেবানিজ, আলবেনিয়া, আফগানিস্তানের মুসলমানেরা অন্যতম। মাথার উপরে একটুকরো কাপড় ফ্রেঞ্চদের মধ্যে অনেক বড় সমস্যা সৃষ্টি করেছে। ফলে ফ্রেঞ্চ পার্লামেন্টে আইন করে হিজাব নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
এদিকে ২০১২ সালে ইংল্যান্ডের রাজবধু কেট যখন মালয়েশিয়া যায় তখন হিজাব পরিধান করে। কখনও ওরা হিজাব নিষিদ্ধ করে দেয় আর কখনও নিজেরাই হিজাবে মাথা ঢেকে ফ্যালে। মালয়েশিয়ার বিপুল পরিমান খনিজ সম্পদ আর ইংল্যান্ডের সাথে ট্রিলিয়ন ডলারের ব্যবসা থাকার কারণে মালয়েশিয়াতে সফর চলাকালীন সময়ে রাজবধুকে মিনিস্কার্ট থেকে হিজাবে উন্নিত করেছে ।