আঁকাবাঁকা আদার ভাঁজেভাঁজে গুন!

ঢাকা: শীত মানেই যেন ঠাণ্ডা-কাশি-অ্যালার্জির দেবির কোপানলে পড়া! আর তাই আঁকা-বাঁকা আদার ঝাঁঝাল রসেই এই মহা-প্রকোপ থেকে বাঁচতে প্রকৃতি বাতলে দিল উপায়। ‍শুধুই যে ঠাণ্ডা-কাশি-অ্যালার্জির জন্যই আদা তা নয়। আদার জাদু আরও অনেক শারীরিক অসুস্থতা আর সমস্যা সমাধানেও চোখে পড়ার মতো্।

বমি বমি ভাব উপশম করা থেকে শুরু করে পাকস্থলির কর্মক্ষমতা উন্নত করা, যেকোনো প্রকার প্রদাহ বা জ্বালা-পোড়া হ্রাস, শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা উন্নত করা, রক্তসংবহন উন্নয়ন, মাসিকের অস্বস্তি বা তলপেটের ব্যথা উপশম, অনাক্রম্যতা (রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা)শক্তিশালী করে তোলাসহ মানসিক চাপ উপশমেও আদার কোন জুড়ি নেই।

দূরপাল্লার ভ্রমণের শুরুতে এক কাপ আদার চা বমি বমি ভাবটাকে কাটিয়ে উঠতে বেশ সহায়ক।অতিরিক্ত খাবার খেয়ে ফেলার পর যে বিপাকে পরতে হয় তার থেকে স্বস্তি মিলবে।পেশি আর অস্হি-সন্ধির সমস্যাতে ঘরোয়া টোঁটকায় ‍আদা বেশ উপকারী।এক কাপ আদা চায়ে পরিবেশজনিত অ্যালার্জির সাথে যুক্ত শ্বাসযন্ত্রের উপসর্গতেও স্বস্তি পাওয়া যাবে।

আদাতে থাকা ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যামিনো অ্যাসিড রক্ত সঞ্চালন উন্নত আর পুনরুদ্ধার করতে সাহায্য করে হৃদযন্ত্রের সমস্যার শঙ্কা কমিয়ে আনতে পারে অনেকখানি। সেই সাথে ধমনীতে চর্বি জমা প্রতিরোধ করে হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমিয়ে আনতে সাহায্য করে।

মাসিকের সময়ের তলপেটের ব্যথা অনেককেই বেশ কাবু করে ফেলে। সেই সময় গরম আদা চায়ে গামছা ভিজিয়ে তলপেটে দিলে আরাম পেতে পারেন। সেই সাথে গরম আদা চায়ের সাথে মধু মিশিয়ে খেলেও উপকার পেতে পারেন।

আদায় প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকায় তা দেহের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়ক। শুধু তাই না, আদার দৃঢ় সুবাস এবং নিরাময় বৈশিষ্ট্যের এই অদ্ভুত এবং জাদুকরী সংমিশ্রণের কারণে মনে করা হয়.আদা-চা মানসিক চাপ এবং উত্তেজনা কমাতেও সাহায্য করতে পারে।

এছাড়া আদার মূলে থাকা উচ্চ মাত্রার ভিটামিন সি, ম্যাগনেসিয়াম এবং অন্যান্য খনিজ স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী এ নিয়ে কোন সন্দেহ নেই।

আর বাড়তি স্বাদ বাড়াতে আপনি চাইলেই আদা চায়ের সাথে পিপারমিন্ট, মধু বা লেবু যোগ করতে পারেন। আর তাই ভেষজ বিশেষজ্ঞদের সুরে সুর মিলিয়ে বলা যেতেই পারে এই শীতে এক কাপ ফুটন্ত গরম আদা-চায়ের মতো আর কোনো কিছুই তৃপ্তির পাশাপাশি এভাবে সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে পারবে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *