তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের এক বছর

গত এক বছরে বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের অগ্রগতি সম্পর্কে জানাতে আজ বিসিসি অডিটোরিয়ামে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ। সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ গত এক বছরে তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পর্কে জানান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, গত এক বছরে বেসরকারি উদ্যোক্তাদের জন্য ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ তৈরিতে কাজ করেছেন তাঁরা। দেশের প্রযুক্তি খাতের সব ব্যবসায়ী সংগঠনকে কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। এ ছাড়াও ২০০৯ সালের আইসিটি নীতিমালাকে যুগোপযোগী করতে সংশোধিত আইসিটি পলিসি-২০১৫-এর চূড়ান্ত খসড়া প্রণয়ন করা হয়েছে যা মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।
জুনাইদ আহমেদ জানান, গত এক বছরে ই-সার্ভিসসমূহকে আইনি কাঠামো প্রদানের লক্ষ্যে ই-সার্ভিস আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ আইন-২০১০ সংশোধন করা হয়েছে। সাইবার অপরাধ দমনে আমরা সাইবার নিরাপত্তা নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তি খাতে গবেষণামূলক কার্যক্রমে উৎসাহ দিতে আইসিটি ফেলোশিপ চালু করা হয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তি খাতে দক্ষ জনবল তৈরিতে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কর্মসূচি চালু করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে আইটি/আইটিএস, লিভারেজিং আইটিসি ফর গ্রোথ, লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং, বাড়ি বসে বড়লোকের মতো নানা কর্মসূচি।
তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে সফলতা বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, টায়ার-৩ সনদপ্রাপ্ত ডেটা সেন্টার সম্প্রসারণ, সব জেলাকে থ্রিজি নেটওয়ার্কের আওতায় আনা, দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবলের জন্য চুক্তি সই, বাংলা গভনেট, ইনফোসরকার প্রকল্প বাস্তবায়ন, সাড়ে তিন হাজার বিদ্যালয়ে কম্পিউটার ল্যাব স্থাপনের মতো কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হয়েছে। সারা দেশের সব সরকারি প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটকে একটি অভিন্ন প্ল্যাটফর্মের আওতায় নিয়ে ‘জাতীয় তথ্য বাতায়ন’ চালু করা হয়েছে।
গত বছরের অর্জন সম্পর্কে জুনাইদ আহমেদ আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন সংস্থার (আইটিইউ) সদস্যপদ পাওয়া, জাতিসংঘ কর্তৃক সাউথ-সাউথ কো-অপারেশন ভিশনারি পুরস্কার অর্জন, এটি কারনির তালিকায় স্থান পাওয়ার মতো বিষয়গুলো উল্লেখ করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *