তাইজুল বলেন, “বাউন্সি উইকেটে আমাদের খুব একটা সমস্যা হবে না। ওয়েস্ট ইন্ডিজে আমরা বাউন্সি উইকেটে খেলেছি, সেখানে আমরা ভালোই করেছি। আমার মনে হয়, ভালো করার জন্য আত্মবিশ্বাস থাকাটা অনেক বড় ব্যাপার। আত্মবিশ্বাস যত থাকবে, আমাদের জন্য তত ভালো হবে।”
সোমবার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপ প্রস্তুতি শুরু করে বাংলাদেশ। বিগ ব্যাশ লিগে খেলা সাকিব আল হাসান ও হাঁটুর অস্ত্রোপচারের পর পুনর্বাসনে থাকা তামিম ইকবাল ছাড়া বাকি সবাই উপস্থিত ছিলেন প্রথম দিনের অনুশীলনে।
প্রথম দিন কোনো ‘স্কিল’ অনুশীলন ছিল না ক্রিকেটারদের। লম্বা মিটিংয়ের পর জিমে ব্যায়াম করেন তারা। ফিটনেস ট্রেনিংয়ের পর দলের প্রতিনিধি হয়ে সংবাদ সম্মেলনে হাজির হন আরাফাত সানি ও তাইজুল।
একটি ওয়ানডে খেলেই বিশ্বকাপ দলে আছেন তাইজুল। অভিজ্ঞতার এই ঘাটতি নিয়ে মোটেও ভাবছেন না তিনি। তিনি বলেন, “মাত্র এক ম্যাচ খেলার ব্যাপারটি নিয়ে ভাবছি না। ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ, বিপিএলসহ অন্যান্য প্রতিযোগিতায় ভালো খেলেছি। আমার কাছে সব সময়ই মনে হয়েছে, ভালো করার জন্য আত্মবিশ্বাসটাই আসল।”
অস্ট্রেলিয়া, নিউ জিল্যান্ডে কখনো খেলা হয়নি তাইজুলের। তাই সিনিয়র ক্রিকেটারদের সঙ্গে কথা বলে যতটা সম্ভব ধারণা নিচ্ছেন তিনি। বিগ ব্যাশ লিগ ও অস্ট্রেলিয়া-ভারতের টেস্ট সিরিজ দেখে বোঝার চেষ্টা করেছেন, এই ধরনের উইকেটে বল কোথায় ফেলতে হবে।
তাইজুল জানান, এবার তার বাড়ি ফেরাটা ছিল সম্পূর্ণ অন্য রকম। নাটোরে নিজের বাড়িতে যাওয়ার পর, মা তাকে বুকে জড়িয়ে ধরেছিলেন, এখনো ভুলেননি তিনি।
“নিজেকে খুব সৌভাগ্যবান মনে হয়। ১৬ কোটি মানুষের মধ্যে মাত্র ১৫ জন সুযোগ পেয়েছে, আমি তার একজন। ব্যক্তিগত কোনো লক্ষ্য নিয়ে এখন ভাবছি না। প্রয়োজনের সময় দেশের জন্য কি করতে পারলাম সেটাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ।”
গত বছর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পঞ্চম ও শেষ ওয়ানডেতে অভিষেক হয় তাইজুলের। সেই ম্যাচে ইতিহাস গড়ে বিশ্বকাপ দলে জায়গা করে নেন তিনি। ওয়ানডেতে অভিষেকে হ্যাটট্রিকের কৃতিত্ব সারা বিশ্বে একমাত্র তাইজুলেরই।
“টেস্ট সিরিজ খেলার সময় ওয়ানডেতে খেলার চিন্তা আসতো মনে। তখন ভাবতাম, সুযোগ পেলে এমন কিছু করতে হবে, যেন আরো ভালো জায়গায় যেতে পারি। সেই ম্যাচের পারফরম্যান্স আমার জন্য