হঠাও হাসিনা বাঁচাও দেশ

crimebasedsocietyআজকাল বেশ একটা শ্লোগান শোনা যাচ্ছে – “হঠাও হাসিনা বাঁচাও দেশ” ।
হাসিনা হটলে যে দেশ বাঁচবে এমন কোন কথা নাই। দেশের জন্য হাসিনা অনেক কিছু করেছে। তার ভেতর অপরাধ নির্ভর সমাজব্যবস্থা অন্যতম । যাবার সময়ে হাসিনা এই অপরাধ নির্ভর সমাজব্যবস্থা সাথে করে নিয়ে যাবেনা। সমাজে এইসব অপরাধীরা আগে থেকেই ছিল। হাসিনা তাদের বেছে বেছে জনগনের সামনে নিয়ে এসেছে। তাদের ভেতরের অপরাধীকে অনুপ্রেরণা দিয়েছে, খাদ্য দিয়েছে, পানি ঢেলেছে, বাতাস দিয়েছে, অপরাধীদের ভেতরে সুপ্ত অপরাধ ধীরে ধীরে বা দ্রুত জেগে উঠেছে। হাসিনা কাজে লাগিয়েছে। নিম্নলিখিত অপরাধগুলো হাসিনা সুটকেসে ভরে সাথে নিয়ে যাবেনা

— চুরি
— চান্দাবাজী
— দুর্নীতি
— ঘুষ আদান প্রদানের শক্তিশালী ব্যবস্থা (ঘুষ না দিলে কিছু করা যায়না)
—  গ্রেফতার ও ভুয়া মামলা দিয়ে পরিবার পরিজন কে টাকার জন্য ব্লাকমেইল
—পিটিয়ে হত্যা
— কুপিয়ে হত্যা
— ধর্ষন, মহিলাদের পিটিয়ে নির্যাতন ও হত্যা
— বাংলাদেশের আদালত মৃত
— বাংলাদেশের সংবিধান মৃত
— বাংলাদেশের সীমান্তে বাংলাদেশীরা প্রতিদিন ২৫শে মার্চ ১৯৭১ এর মত কাটায়
— সাড়া বিশ্বে বাংলাদেশের শ্রমিকদের জন্য সরকারের কোন প্রতিনিধিত্ব নাই। সেটা রাতারাতি হবেনা
— শিক্ষা প্রতিষ্টানে দুর্নীতি, ফালতু শিক্ষাব্যবস্থা, লম্পট শিক্ষক, নকলবাজী, শিক্ষা প্রতিষ্টানগুলো এখন বুড়িগঙ্গার মত আবর্জনাতে ভরা
—- অনেক ডাক্তার আছে যারা প্রশ্নপত্র কিনে ডাক্তার হয়েছে। তারা ভুল অপারেশন করে রোগী মেরে ফ্যালে। যেহেতু তারা প্রশিক্ষিত ডাক্তার না। তারা ভুয়া ডাক্তার। পুলিশরা যেভাবে গ্রেফতার করে ভুয়া মামলা দেয়। ডাক্তাররা ঠিক এক ইভাবে একজন অসুস্থ রোগীকে নানা রকমের ভুয়া অসুখের নাম করে টাকা আদায় করতে থাকে
—রাজনীতিবিদেরা সবাই দালাল; পুরানা ডাকাত,খুনী, চোর, লুচ্চা — এরা হলো সব চাইতে হিংস্র । ক্ষমতা আর টাকার জন্য একবার বোন ডাকে আর একবার বোনের পিঠে ছুরি ভোঁকে । স্বামীকে মারার জন্য ভারতের সাহায্য চায় আর স্ত্রীকে গামছা উপহার দেয়। এরা পারেনা এমন কিছুই নাই।
শেখ হাসিনা চলে যাবে। ফেলে যাবে নিজ হাতে গড়া এক অপরাধ নির্ভর বাংলাদেশ। যেখানে মশামাছির মত মানুষ মানুষকে খুন করে সামান্য কারণে। এখানে স্টার জলসা বা পাখী ড্রেসের জন্য তালাক হয়। এখানে প্রেমিকাকে এনে টুকরা টুকরা করে কাটা হয়। এখানে বহুতল জনবহুল ফ্লাটে মানুষকে জবাই করা হলেও কেউ টের পায়না। বাংলাদেশে এখন যা হয় তা ১৪০০ বছর আগে আরবে হয় নাই (আমার মনে হয়)
অনেকেই এইসব নিয়া গর্ব করে।
অনেকেই ভাবে হাসিনা গেলেই এইসব অপরাধীরা দুঃস্বপ্নের মত বাতাসে মিশে যাবে।
অনেকেই ভাবে হাসিনা একমাত্র সমস্যা আর যারা হাসিনার বিরোধিতা করে তারা সবাই নিস্পাপ নিসকলঙ্ক।
অনেকেই ভাবে হাসিনা গেলে তারা ক্ষমতায় যাবে এবং হাসিনা যা কিছু করেছে সেগুলো মনের আনন্দে করবে।
অনেকেই অপরাধ কে তুলনামূলকভাবে দ্যাখে — আমাদের তুলনায় অমুকেরা বেশী হত্যা করেছে। আসলে এক অপরাধের সাথে অন্য অপরাধের তুলনা করে একটা ছোট অপরাধ অন্যটা বড় অপরাধ হিসাবে দেখা যায়না। অপরাধ অপরাধই। সব অপরাধেরই বিচার হওয়া উচিৎ । যথাযথ শাস্তির ব্যবস্থা করা উচিৎ । ৪৩ বছরে কিছু বদল হয়নি। আইনের সমাজ প্রতিষ্টিত হয়নি। ন্যায় প্রতিষ্টিত হয়নি। চূড়ান্ত অব্যবস্থা চারিদিকে।

আজকের অপরাধ নির্ভর সমাজের স্থপতি শেখ হাসিনা। যারা অপরাধ করেছে তাদের অপরাধ করার জন্য হাতে টাকা দেওয়া হয়েছে, দেওয়া হয়েছে ক্ষমতা। তাদের সামনে দুইটা অপশন বা বিকল্প ছিলঃ
হয় টাকা নিয়ে ভোগ করো  না হয় নীতি নিয়ে ধুয়ে খাও ।
ওরা টাকা বেছে নিয়েছে। ফলে মানূষের দুর্ভোগ বৃদ্ধি পেয়েছে। গড়ে উঠেছে অপরাধ নির্ভর সমাজ ব্যবস্থা ।
এই অপরাধ নির্ভর সমাজ ব্যবস্থা হলো আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে জাতির জন্য সামান্য একটি উপহার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *