প্যারিসে শার্লি এবদু পত্রিকা অফিসে হামলার ঘটনাসহ ফ্রান্সে তিনদিনের সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে একাত্মতা প্রকাশ করে লাখো মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত র্যাদলিতে যোগ দিয়েছেন পশ্চিমা ও মুসলিম দেশগুলোর ৪০ নেতা।
রোববার ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসের কেন্দ্রীয় প্লাস দুলা রেপিউবলিক থেকে প্রতিবাদ মিছিলসহ র্যালি শুরু হয়।
মিছিলের সম্মুখভাগে ছিলেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওঁলাদ। তার পাশে ছিলেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন, জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল, ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস, ইতালির প্রধানমন্ত্রী মারিও রেনজি, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি-মুন, তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী আহমেত দাভুতোগলু, মালির প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম বুবাকার কেইটাসহ অন্যান্য বিশ্বনেতা।
র্যালির পরে প্যারিসে ক্যাশার সুপার মার্কেটের সামনে আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ওঁলাদ বলেন, ‘আজ আমরা সবাই শার্লি, আমরা সবাই পুলিশ কর্মকর্তা, আমরা সবাই ফ্রান্সের ইহুদি।’
র্যালির শুরুতে নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালনসহ হাতে হাত ধরে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে একাত্মতা প্রকাশ করেন নেতারা। ওঁলাদ এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আজ বিশ্বের রাজধানীতে পরিণত হয়েছে প্যারিস। আমাদের পুরো দেশ জেগে উঠবে।’
এর আগে মিছিলের নিরাপত্তার জন্য প্যারিসে বিভিন্ন ভবনের ছাদে স্নাইপার মোতায়েনসহ প্রায় আড়াই হাজার পুলিশ ও সেনা মোতায়েন করে নজিরবিহীন নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। মিছিল যে যে পথে এগিয়েছে, সেসব পথে আগের দিন থেকেই ব্যাপক তল্লাশি চালানো হয়।
অন্যদিকে শনিবার প্যারিস, অর্লেন্স, নিস, পাউ, তুলো ও ন্যানেতসর মতো বড় বড় শহরসহ সারা দেশে প্রায় সাত লাখ মানুষ নিহতদের স্মরণে বিভিন্ন মিছিলে অংশ নেয়।
প্রসঙ্গত, গত বুধবার প্যারিসে বিদ্রুপ পত্রিকা শার্লি এবদুর কার্যালয়ে হামলা চালানোর পর তিন দিনের সন্ত্রাসী তাণ্ডবে সাংবাদিক, পুলিশ কর্মকর্তাসহ অন্তত ১৭ জন নিহত হয়।
তিন হামলাকারী নিহত হয় পুলিশের গুলিতে। এদিকে হামলাকারীদের সহযোগীদের খোঁজে ফ্রান্সজুড়ে ব্যাপক অভিযান শুরু করেছে পুলিশ। এ ছাড়া সামনের সপ্তাহগুলোতে ফ্রান্সজুড়ে উচ্চ সতর্কাবস্থা জারি থাকবে বলে জানিয়েছেন ফরাসি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বার্নাড ক্যাজনভ।