ছাগলের জন্য কিশোরকে পিটিয়ে হত্যা

নোয়াখালী: শিম গাছ খেয়েছে ছাগল, তাই ছাগলটি ধরে বাড়িতে বেঁধে রেখেছিল ক্ষেতের মালিকপক্ষ। কিন্তু কেন ছাগলটি ধরে আনা হলো এ রাগে-ক্ষোভে ছাগলের মালিকপক্ষ উল্টো লোকজন নিয়ে ফসলের মালিকপক্ষের বাড়িতে হামলা চলালো। পিটিয়ে আহত করলো ফসলের মালিকদের। এতে গুরুতর আহত এক কিশোরের মৃত্যু হয়।

ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার বিকেলে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার জিরতলী ইউনিয়নের মহেষপুর গ্রামে। ঘটনার পর রোববার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই কিশোরের মৃত্যু হয়।

নিহত কিশোরের নাম মো. তারেক (১৭)। তিনি মহেষপুর গ্রামের সুরের বাড়ির সাহাব উদ্দিনের ছেলে। হামলার ঘটনায় ওই কিশোরের মা ও ভাইসহ ৬জন গুরুতর আহত হন।

আহতরা হলেন- নিহত তারেকের মা তাহেরা খাতুন, ভাই ইউছুফ জামান, চাচা জহির উদ্দিন, চাচি রাজিয়া সুলতানা, চাচাতো ভাই রাকিব ও সুমন।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শনিবার বিকেলে ইউপির মহেষপুর গ্রামের তাজুল ইসলামের পোষা ছাগল তারেকের চাচা জহির উদ্দিনের কয়েকটি শিম গাছ খেয়ে ফেলে। এ সময় তারেক ও তার চাচাতো ভাইরা একটি ছাগল ধরে বাড়িতে এনে আটক করে রাখে। এ বিষয়টি জানতে পেরে তাজুল ইসলামের ছেলে আনোয়ার ক্ষিপ্ত হয়।

পরে রাতে ২০/২৫জন বহিরাগত লোকজন নিয়ে আনোয়ার তারেকদের বাড়িতে হামলা চালায়। এসময় হামালাকারীরা তারেক, তার মা তাহেরা খাতুন, ভাই ইউছুফ জামান, চাচা জহির উদ্দিন, চাচি রাজিয়া সুলতানা, চাচাতো ভাই রাকিব ও সুমনকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে জখম করে ছাগলটি নিয়ে যায়। হামলার সময় হামলাকারীরা ওই বাড়িতে ব্যাপক বাঙচুর করে।

পরে স্থানীয় লোকজন আহতদের উদ্ধার করে নোয়াখালী আব্দুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। রাতে তারেকের অবস্থার অবনতি ঘটলে চিকিৎসকের পরমার্শ মতে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সকালে ঢামকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তারেকের মৃত্যু হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *