বাংলাদেশের সঙ্কট সমাধানে ৪ দফা প্রস্তাব, প্রয়োজনে “সামরিক পদক্ষেপ গ্রহণ ও শক্তি প্রয়োগের সুপারিশ”

জাতিসঙ্ঘ মহাসচিবের বিশেষ দূত ও সহকারী মহাসচিব অস্কার ফার্নান্দেজ তারানকো তার বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও প্রধান দুই দলের মধ্যকার সমঝোতা প্রচেষ্টা নিয়ে তৈরি প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন।

চলতি সপ্তাহে তিনি বাংলাদেশে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানে কয়েক দফা সুপারিশসংবলিত প্রতিবেদনটি মহাসচিব বান কি মুনের কাছে জমা দেন। এই প্রতিবেদন সম্পর্কে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো কিছু এখনো প্রকাশ করা হয়নি। তবে বিভিন্ন সূত্রে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী তারানকো সঙ্কট সমাধানে চারটি মৌলিক প্রস্তাব পেশ করেছেন বলে জানা গেছে।

প্রতিবেদনে তিনি জানিয়েছেন, বাংলাদেশের বিদ্যমান সঙ্কট সমাধান করতে হলে অবিলম্বে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের মুক্তি প্রদান, তাদের অফিস খুলে দেয়াসহ স্বাভাবিক রাজনৈতিক কার্যক্রম চালু রাখা, সভা সমাবেশকে বাধা না দেয়ার পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।

নির্বাচনকালীন সময়ে বর্তমান প্রধানমন্ত্রীকে ছুটি দেয়া যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে একজন নিরপেক্ষ ব্যক্তি নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। নির্বাচনকালীন সরকারের মন্ত্রিপরিষদে দুই পক্ষের লোক থাকবেন। তবে জনপ্রশাসন ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের প্রধান হিসেবে দু’জন নিরপেক্ষ ব্যক্তি দায়িত্ব পালন করবেন।

তারানকো জানিয়েছেন, দুই পরে সমঝোতা প্রচেষ্টা ভেঙে যাওয়ার পর সঙ্কট সমাধানে নতুন এই উদ্যোগ গ্রহণের বিকল্প নেই। তিনি বলেছেন, এই প্রস্তাবে দুই পক্ষ সম্মত না হলে জাতিসঙ্ঘের তত্ত্বাবধানে বিভিন্ন দেশে নির্বাচনকালীন সরকার পরিচালনার যে পদ্ধতি রয়েছে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে।

সে ক্ষেত্রে নির্বাচনকালীন সরকারে সংশ্লিষ্ট দেশের প্রতিনিধিরা থাকবেন। জাতিসঙ্ঘের একটি কমিটি সার্বিক বিষয় তদারকি করবেন। এর পরও সমাধান না হলে জাতিসঙ্ঘের পক্ষ থেকে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা যেতে পারে। তাতেও কাজ না হলে জাতিসঙ্ঘের চ্যাপ্টার ৭ অনুযায়ী সামরিক পদক্ষেপ গ্রহণ ও প্রয়োজনে শক্তি প্রয়োগের সুপারিশ করেছেন তিনি। উল্লেখ্য, এই প্রস্তাবনাটি ৫ই জানুয়ারি ২০১৪ নির্বাচনের আগের ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.