জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে ২০১৪ সালে শীর্ষস্থান অর্জন করেছে বাংলাদেশ। বর্তমানে বাংলাদেশের ৯ হাজার ৪০০ শান্তিরক্ষী বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের ১০টি শান্তিরক্ষা মিশনে কর্মরত আছেন। জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ড. এ কে মোমেন এ তথ্য জানিয়েছেন। এ ছাড়া আগামী ২০ থেকে ২২ জানুয়ারি ঢাকায় ‘সেক্রেটারি জেনারেলস হাই লেভেল ইনডিপেনডেন্ট প্যানেল অন ইউএন পিস অপারেশনস’-এর এশীয় আঞ্চলিক কনসালটেশনের প্রথম সভার আয়োজন করছে বাংলাদেশ।
শীর্ষস্থান অর্জনের বিষয়ে ড. এ কে মোমেন বলেন, বিশ্বশান্তি রক্ষা ও স্থিতিশীলতা জোরদারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় প্রত্যয় এবং এ লক্ষ্যে জাতিসংঘের আহ্বানের প্রতি তার দ্রুত ও ইতিবাচকসাড়া দেওয়ার কারণে এ অর্জন সম্ভব হয়েছে। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ জোরদার করেছে। বাংলাদেশ বর্তমানে অন্যতম শীর্ষ পুলিশ ও নারী শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশও।ড. মোমেন জানান, বাংলাদেশ এ পর্যন্ত বিশ্বের ৩৯টি দেশের ৫৪টি শান্তিরক্ষা মিশনে অংশ নিয়েছে। এসব মিশনে অংশগ্রহণ করেছেন ১ লাখ ২৭ হাজারের বেশি শান্তিরক্ষী। বিশ্বশান্তি রক্ষায় বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ‘ব্লু হেলমেট’ হিসেবে সমাদৃত হচ্ছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের রয়েছে বিশ্বমানের শান্তিরক্ষা কার্যক্রম ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট। বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীদের পেশাদারিত্ব, দক্ষতা ও নিষ্ঠা বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হচ্ছে। তারা ‘মডেল শান্তিরক্ষী’ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন।
গত সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ সম্মেলনে বাংলাদেশ, যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও রুয়ান্ডার সঙ্গে যৌথভাবে ‘শান্তিরক্ষায় উচ্চ পর্যায়ের শীর্ষ সম্মেলন’ আয়োজন করেছে। শান্তিরক্ষায় সব অংশীদারের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে কাজ করছে বাংলাদেশ। এরই অংশ হিসেবে বাংলাদেশ আগামী ২০ থেকে ২২ জানুয়ারি ঢাকায় ‘সেক্রেটারি জেনারেলস হাই লেভেল ইনডিপেনডেন্ট প্যানেল অন ইউএন পিস অপারেশনস’-এর এশীয় আঞ্চলিক কনসালটেশনের প্রথম সভার আয়োজন করছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী এবং জাতিসংঘ মহাসচিবের হাই লেভেল প্যানেল সভাপতি, নোবেল বিজয়ী এবং তিমোর লেসবের সাবেক প্রেসিডেন্ট হোসে রামোস হোরটা যৌথভাবে প্যানেল সদস্যদের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। ২০ জন প্যানেল সদস্যের পাশাপাশি ৩১টি দেশের প্রতিনিধিরাও এতে অংশ নেবেন।