মালয়েশিয়ায় ছাত্রলীগের ৬৭ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

জহিরুল ইসলাম হিরন,মালয়েশিয়া প্রতিনিধি : বাংলাদেশ ছাত্র লীগ মালয়েশিয়া শাখার উদ্যেগে ছাত্র লীগের ৬৭ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত হয়েছে। গতকাল ৪ জানুয়ারী সন্ধা ৭ টা কুয়ালালামপুরের বুকিত বিনতান রেস্টুরেন্ট আজনুরায় কেক কাটা ,আলোচনা সভা পালন করা হয়।
মালয়েশিয়া ছাত্রলীগের যুগ্ন আহ্বায়ক এস এম সায়েম রাসেলের সভাপতিত্বে কুয়ালালামপুর ছাত্র লীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম খান রাসেলের অনুষ্ঠান পরিচালনায় বক্তবো রাখেন এ কামাল চৌধুরী ,মনসুর আল বাসার সোহেল,মিনহাজ উদ্দিন মিরান , সোহেল ,ব্লাক আনোয়ার ,শাহাদাত সাব্বির ,সয়েল মিনহাজুর রহমান ,জাকারিয়া ইসলাম সহ আরো অনেকে।
আলোচনায় সভায় মালয়েশিয়া ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ বলেন ,দেশের ঐতিহ্যবাহী ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৬৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ। বাংলার স্বাধীনতা ও বাঙালির স্বাধিকার অর্জনের লক্ষ্যে মূল দল আওয়ামী লীগের জন্মের এক বছর আগেই প্রতিষ্ঠা পেয়েছিল গৌরব ও ঐতিহ্যের এ ছাত্র সংগঠন। ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করেন। তার নেতৃত্বেই ওই দিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হলে আনুষ্ঠানিকভাবে এর যাত্রা শুরু হয়। গত ৬৭ বছরে ছাত্রলীগের ইতিহাস হচ্ছে জাতির ভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠা, মুক্তির স্বপ্ন বাস্তবায়ন, স্বাধীনতার লাল সূর্য ছিনিয়ে আনা, গণতন্ত্র ও প্রগতির সংগ্রামকে বাস্তবে রূপদানের ইতিহাস। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই প্রতিটি গণতান্ত্রিক ও প্রগতিশীল সংগ্রামে ছাত্রলীগ নেতৃত্ব দিয়েছে এবং চরম আত্মত্যাগের মাধ্যমে বিজয় ছিনিয়ে এনেছে। ১৯৪৯ সালে তত্কালীন পাকিস্তানের প্রথম বিরোধী দল হিসাবে আওয়ামী মুসলিম লীগে’র আত্মপ্রকাশ ঘটে, যা পরে আওয়ামী লীগ নাম ধারণ করে এ দেশের স্বাধিকার ও স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতৃত্ব দেয়। এ প্রেক্ষাপটে ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠা বাঙালি জাতির ইতিহাসে বিশেষ তাত্পর্যপূর্ণ। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনে ছাত্রলীগের নেতৃত্বে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে বুকের তাজা রক্তের বিনিময়ে বাঙালির ভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠা, ৫৪’র সাধারণ নির্বাচনে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ পরিশ্রমে যুক্তফ্রন্টের বিজয়, ৫৮’র আইয়ুববিরোধী আন্দোলন, ৬২’র শিক্ষা আন্দোলনে ছাত্রলীগের গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা, ৬৬’র ৬ দফা নিয়ে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের দেশের প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সারাদেশে ছড়িয়ে পড়া, ৬ দফাকে বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ হিসাবে প্রতিষ্ঠা, ৬৯’র গণঅভ্যুত্থানে ছাত্রলীগের নেতৃত্বে পাক শাসককে পদত্যাগে বাধ্য এবং বন্দীদশা থেকে বঙ্গবন্ধুকে মুক্ত করা, ৭০’র নির্বাচনে ছাত্রলীগের অভূতপূর্ব ভূমিকা পালন, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে সম্মুখসমরে ছাত্রলীগের অংশগ্রহণ, স্বাধীনতা পরবর্তী সামরিক শাসনের অবসান ঘটিয়ে গণতন্ত্রে উত্তরণসহ প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে ছাত্রলীগের অসামান্য অবদান দেশের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। ইতিহাসের বাঁকে বাঁকে বিভিন্ন পর্যায়ে নেতৃত্ব দেয়া এই সংগঠনের নেতাকর্মীরা পরে জাতীয় রাজনীতিতেও নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং এখনও দিয়ে যাচ্ছেন। বর্তমান জাতীয় রাজনীতির অনেক শীর্ষনেতার রাজনীতিতে হাতেখড়িও হয়েছে ছাত্রলীগ থেকে।
মালয়েশিয়া ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ বিএনপি জামায়াত তের কঠোর সমালোচনা করে বলেন বিএনপি জামাত হরতালের নামে দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে যাচ্ছে। বাসে আগুন দিয়ে মানুষ মারছে। বিএনপি আন্দোলনে বাংলার জনগণ এখন আর সাড়া দেয় না । হুমকি ধামকি দিয়ে শেখ হাসিনা না ক্ষমতা থেকে নামাতে পারবে না। লন্ডনে বসে তারেক বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সরজন্ত্র করছে। বঙ্গ বন্ধুর বিরুদ্ধে তারেক রহমান কটুক্তি করছে। বঙ্গবন্ধুকে তারেক কটুক্তি করে বাংলার জনগণ কে তারেক অপমান করছে। বাংলার জনগণ এর রিদয়ে আঘাত দিয়েছে। জনগণ তাকে ক্ষমা করবে না। মালয়েশিয়া ছাত্রলীগ তারেক কে বিচারের কাঠ গড়ার আনে তার শাস্তি দাবি করেন। এই সময় মালয়েশিয়া বিভিন্ন ইউনিভার্সিটি থেকে বিপুল সংখ্যক ছাত্রলীগ নেতা কর্মী সভাস্থলে যোগ দেন। মালয়েশিয়া ছাত্রলীগ কেক কেটে ও মিষ্টি বিতরণ করে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচি পালন করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *