রাজশাহীতে অস্ত্র কেড়ে পুলিশ পেটানোর ঘটনায় জড়িত শিবির কর্মীদের মধ্যে পাঁচজনকে চিহ্নিত করেছে পুলিশ। বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত ছবি দেখে তাদের চিহ্নিত করা হয়। চিহ্নিতদের গ্রেফতারে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন নগরীর শাহ মখদুম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সায়েদুর রহমান ভুইয়া।
এদিকে হামলায় জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার আটজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গতকাল তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। গতকাল পুলিশ তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ড আবেদন জানিয়ে আদালতে সোপর্দ করে। আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।শাহ মখদুম থানার ওসি জানান, শালবাগান এলাকার আলিফ লাম মিম ভাটার সামনে যারা পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা চালিয়েছেন তাদের চিহ্নিত করা গেছে। হামলাকারীদের মধ্যে ছিলেন শহিদুল ইসলাম, জসিম, রাজু, রুম্মন ও সবুজ। এদের মধ্যে শহিদুল ইসলাম ও জসিম ২০১৩ সালের ১ এপ্রিল শালবাগান এলাকায় পুলিশের আর্মড উপ-পরিদর্শক জাহাঙ্গীর আলমের ওপরও হামলা চালিয়েছিলেন। রাজু শাহ মখদুম থানা শিবির সভাপতি। রুম্মন ও সবুজ শিবিরের সক্রিয় কর্মী বলে তারা জানতে পেরেছেন। ওসি আরও জানান, হামলাকারীরা মথুরডাঙ্গা ও হেতেম খাঁ এলাকায় অবস্থান নেন। এরপর টিটিসির গলি হয়ে আলিফ লাম মিম ভাটার সামনে এসে হামলা চালান। হামলার পর তারা আবার ওই পথ দিয়ে পালিয়ে যান। এদিকে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় শিবিরের শতাধিক নেতা-কর্মীর নামে মামলা করেছে পুলিশ।ওসি সায়েদুর রহমান ভুইয়া জানান, উপ-পরিদর্শক জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে ৫০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৬০-৭০ জনকে আসামি করে মামলাটি করেন। মামলায় আটজনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। এদিকে মঙ্গলবার হরতাল ও অবরোধ চলাকালে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে উপ-পরিদর্শক জাহাঙ্গীর আলমকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। শিবিরের হামলার সময় তিনি শালবাগান এলাকার দায়িত্বে ছিলেন। তাকে মঙ্গলবার সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ কমিশনার মো. শামসুদ্দিন।
Kutub Uddin liked this on Facebook.
Kutub Uddin liked this on Facebook.