গত এক বছরে দেশের খুচরা বাজারে কেজিতে মোটা চালের দাম বেড়েছে ৪ দশমিক ৪১ শাতাংশ। টাকার হিসাবে কেজি প্রতি দাম বেড়েছে ১ থেকে ৪ টাকা পর্যন্ত। বর্তমানে বাজারে প্রতিকেজি মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৩৪ টাকা থেকে ৩৮ টাকা পর্যন্ত। যা গত বছর একই সময়ে ছিল ৩৩ থেকে ৩৫ টাকা। এ ছাড়া মানভেদে চালের দাম এক বছরে সর্বোচ্চ ৭ দশমিক ৩২ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে।
চালের দাম বাড়লেও গেল বছর বাজারে সব কয়টি মানের ভোজ্য তেলের দাম কমেছে ১৩ দশমিক ৬২ শতাংশ পর্যন্ত। ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) সূত্রে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
চালের বাজার দাম (বর্তমান ও ২০১৪ জানুয়ারি সময়ের দাম) : প্রতি কেজি সরু চাল বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫৬ টাকায়, যা গত মাসের তুলনায় ১ টাকা কমলেও গত বছর ঠিক এসময় এর দর ছিল ৩৮ টাকা থেকে ৫৪ টাকা। এ ছাড়া সাধারণ মানের প্রতি কেজি নাজির বা মিনিকেট ৪০ থেকে ৪৮ টাকা, গত বছর ছিল ৩৬ থেকে ৪৬ টাকা, উত্তম মানের নাজির বা মিনিকেট ৪৮ থেকে ৫৬ টাকা, এক বছরে বেড়েছে ২ টাকা; মাঝারী চলের দর ৩৮ থেকে ৪৪ টাকা, যা গত বছর ছিল ৩৮ থেকে ৪২ টাকা; সাধারণ মানের পাইজাম বা লতা চলের প্রতিকেজি ৩৮ থেকে ৪২ টাকা এবং উত্তম মানের ৪২ থেকে ৪৪ টাকা, যার এক বছরে কেজিতে দার বেড়েছে ২ টাকা।
চালসহ অন্যান্য পণ্যের দর বৃদ্ধির কারণ হিসেবে টেক্স, ভ্যাট ও আমদানি সমস্যাকে দায়ি করেছে পাইকারি ব্যবসায়ীরা। সঙ্গে রাজনৈতিক সমস্যাকে দায়ি করেছেন তারা। আর এ সুযোগকে কাজে লগিয়ে পাইকারি বাজারকে দায়ি করে খুচরা বাজারে দাম বাড়াচ্ছে দোকানীরা।
অন্যদিকে সাধারণ ক্রেতারা শীতের সবজির দরে স্বস্তিতে থাকলেও, চালসহ নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় অস্বস্তিতে রয়েছেন।
টিসিবি সূত্র জানায়, ‘বাজারে শুধুমাত্র মানভেদে আদার দাম হ্রাস পেয়েছে। এ ছাড়া পেঁয়াজ (আমদানি/দেশি), রসুন (আমাদানি), মুরগী (ব্রয়লার), ডিম (ফার্ম) ও দেশি ডালের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। এ ছাড়া বাজারে অন্যান্য পণ্যের মূল্য অপরিবর্তিত রয়েছে।’
বাজার স্বাভাবিক করতে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত থেকে পেঁয়াজ আমাদানি করা হলে এক সপ্তাহ আগে পেঁয়াজের দাম স্বাভাবিক থাকলেও তা আবার কেজি প্রতি দাম বেড়েছে ৫ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, আমাদানি পেঁয়াজের দাম প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। আর দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকায়। তবে গত বছরের তুলনায় আমাদানি পেঁয়াজের দাম কমেছে ৫ দশমিক ৫৬ শতাংশ এবং দেশি পেঁয়াজের দাম কমেছে ৪৪ দশমিক ৪৪ শতাংশ।
রাজ / প্রবাস নিউজ