চলচ্চিত্র প্রযোজনা সংস্থা সনি’র উপর সাইবার হামলার জেরে উত্তর কোরিয়ার ওপর নতুন অবরোধ আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। শুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এই নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেন। এ নতুন অবরোধ উত্তর কোরিয়ার তিনটি সংগঠন ও ১০ ব্যক্তির ওপর আরোপ করা হয়েছে। এ খবর দিয়েছে বিবিসি। হোয়াইট হাউস বলেছে, উত্তর কোরিয়ার ‘প্ররোচনামূলক, অস্থিতিশীল ও নিপীড়নমূলক আচরণের’ প্রতিক্রিয়ায় নতুন এ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক কর্মসূচির ওপর ইতিমধ্যেই অবরোধ রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের।
কিন্তু শুক্রবারের এ অবরোধকে দেখা হচ্ছে প্রথমবারের মতো কোন মার্কিন কোমপানিতে সাইবার হামলার প্রতিক্রিয়ায় কোন দেশকে দেয়া শাস্তি হিসেবে। যাদের বিরুদ্ধে অবরোধ আরোপ করা হয়েছে, সেসব সংস্থা ও ব্যক্তির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, উত্তর কোরিয়ার প্রধান গোয়েন্দা সংস্থা দ্য রিকনিসন্স জেনারেল ব্যুরো, প্রধান আর্মস ডিলার- কোরিয়া মাইনিং ডেভেলপমেন্ট ট্রেডিং করপোরেশন (কোমিড), প্রতিরক্ষা গবেষণায় সহযোগী সংস্থা কোরিয়া টাঙ্গুন ট্রেডিং করপোরেশন, কোমিডের রাশিয়া প্রতিনিধি ও সরকারি কর্মকর্তা জ্যাং সং চল, ইরানে কোমিড প্রতিনিধি ও সরকারি কর্মকর্তা কিম ইয়ং চল, সরকারি কর্মকর্তা ও সিরিয়ায় কোমিডের দুই প্রতিনিধি র্যু জিন ও কাং রে্যাং।
হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, এ অবরোধ সনি হ্যাকের পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় নেয়া হয়েছে। তবে যাদের উদ্দেশ্য করে এ অবরোধ আরোপ করা হয়েছে, তারা সরাসরি সাইবার হামলার সঙ্গে জড়িত নয়। এ অবরোধের মূল উদ্দেশ্য, উত্তর কোরিয়ার প্রতিরক্ষা শিল্পকে একঘরে করে রাখা যাতে ভবিষ্যতে আরও সাইবার হামলার সামর্থ্যে বিঘ্ন ঘটে। তবে দুই দেশের মধ্যে তেমন বাণিজ্যসমপর্ক না থাকায় এ অবরোধ তেমন বড় প্রভাব ফেলবে না। প্রতীকী হিসেবেই এটি বিবেচিত হবে। এফবিআই ও বারাক ওবামা সনিতে সাইবার হামলার পেছনে উত্তর কোরিয়ার হাত রয়েছে বলে দাবি করেছিলো।
তবে অনেক বিশেষজ্ঞ এ দাবির ব্যাপারে সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন। এক মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, এ ধরনের ঘটনায় অবরোধ আরোপ বিরল হলেও, হামলার ধ্বংসাত্মক প্রভাব বিবেচনায় তা করা হয়েছে। উত্তর কোরিয়া সাইবার হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছে। নতুন এ অবরোধ আরোপের প্রতিক্রিয়া দেশটি বেশ জোরালোভাবে দেখাবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
আতিক/প্রবাস