ঢাকা: নাচ, গান আর ঢাক-ঢোলের বাজনার তালে তালে শেষ হয়েছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন ছাত্রলীগের ৬৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর বর্ণাঢ্য র্যালি।
শনিবার সকাল থেকে ঢাকার বিভিন্ন ইউনিট থেকে আলাদা আলাদা মিছিল নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে উপস্থিত হয় ছাত্রলীগ। প্রতিষ্ঠার দিনকে বরণ করে নেয়ার জন্য অপরাজেয় বাংলার সামনে তৈরি করা হয় উদ্বোধন মঞ্চ।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, শেখ হাসিনার বড় ছবি, জাতীয় পতাকা, ফানুস, বেলুন, ঘোড়ার গাড়ি, হাতিসহ নানারকম বৈচিত্রের সমাহার ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলা থেকে শুরু হওয়া ছাত্রলীগের র্যালিতে। সবার মুখে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর স্লোগান, র্যালিটি কাকরাইল দিয়ে যাওয়ার সময় বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও খালেদা জিয়ার সর্ম্পকে স্লোগান দিতে দেখা যায়।
র্যালিতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ ছাড়াও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মেডিকেল কলেজ, ঢাকা কলেজ, সরকারি তিতুমীর কলেজ, ইডেন সরকারি মহিলা কলেজ, বদরুন্নেছা সরকারি মহিলা কলেজ, বাংলা কলেজ, বোরহান উদ্দিন কলেজ, ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।
র্যালিটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে কাকরাইল হয়ে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ আওয়ামী লীগের কার্যালয় গিয়ে শেষ হয়। বিপুল জনসমাগমের কারণে এ সময় শাহবাগ, পল্টন, কাকরাইল, গুলিস্তানের রাস্তায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
এর আগে অপরাজেয় বাংলার সামনে সামনে র্যালি পূর্ব সমাবেশে সভাপতিত্ব করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
প্রসঙ্গত, ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠিত হয় ছাত্রলীগ। দেশ ও জাতি গঠনের প্রতিটি সোপানে ছিল সংগঠনটির গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন এবং ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থান সক্রিয় ভুমিকা রাখে ছাত্রলীগ। এছাড়া ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ, ৯০-এর আন্দোলনে ছাত্রলীগের অবদান রয়েছে।