বেশিরভাগ ক্যান্সারেরই কারণ দুর্ভাগ্য!

ঢাকা: প্রাণঘাতী ক্যান্সারের জন্য এতোদিন ধরে অস্বাস্থ্যকর জীবন যাপন এবং পারিবারিক জিনগত ত্রুটিকে দায়ী করা হলেও মূলত বেশিরভাগ ক্যান্সারেরই কারণ কেবলই ‘দুর্ভাগ্য’।

সম্প্রতি গবেষণা শেষে এমনটিই দাবি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের জন হপকিন্স ইউনিভার্সিটির স্কুল অব মেডিসিনের গবেষকরা। ৩১ ক্যান্সার রোগীর ওপর পরিচালিত গবেষণার প্রতিবেদনটি দেশটির প্রভাবশালী ‘জার্নাল সায়েন্স’-এ প্রকাশিত হয়।

প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, ৩১ রোগীর দেহের টিস্যুর বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সারের পরিসংখ্যানিক মডেল নিয়ে গবেষণা শেষে দেখা গেছে, রোগীদের মধ্যে কেবল ৯ জনের ক্যান্সারের জন্য দায়ী তার অস্বাস্থ্যকর জীবন যাপন ও পারিবারিক জিনগত ত্রুটি। বাকি ২২ জনের (৭০ শতাংশেরও বেশি) ক্যান্সারের জন্য দায়ী কেবলই ‘দুর্ভাগ্য’।

গবেষকরা দাবি করেন, দুই তৃতীয়াংশ কান্সারেরই কারণ কোষ বিভাগের দৈব ভুল, যা একেবারেই আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে।

তারা বলেন, স্বাস্থ্যবান থাকার জন্য আমাদের কোষের যতো বিভাজন প্রয়োজন প্রয়োজন হয়, ক্যান্সার সংক্রমণের শঙ্কাও ততই বাড়তে থাকে।

প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, কিছু ক্যান্সার কেন অন্যগুলোর চেয়ে বেশি তা প্রথমবারের মতো ব্যাখ্যা করেছেন এই গবেষকরা। ব্যাখ্যায় বলা হয়, ওপরের অন্ত্রের চেয়ে মলাশয়ের অন্ত্র দ্বিগুণ গতিতে বিভাজিত হয় বলে ক্ষুদ্রান্ত্রের চেয়ে মলাশয়ের ক্যান্সার বেশি দেখা যায়।

গবেষণা দলের প্রধান অধ্যাপক বার্ট ভোগেলস্টেইন বলেন, তামাকের মত উপাদান থাকা সত্ত্বেও ভালো জিনের কারণে লোকেরা ক্যান্সারমুক্ত দীর্ঘায়ু লাভ করে থাকে। কিন্তু আসল সত্য তাদের বেশিরভাগই কেবলই ভাগ্যবান।

গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, যেহেতু জীবনযাপন কিংবা খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করে বেশিরভাগ ক্যান্সারই প্রতিরোধ করা যায় না, সেহেতু যত দ্রুত সম্ভব পরীক্ষা করে ক্যান্সার শনাক্ত করা উচিত, যেন দ্রুত চিকিৎসা নেওয়া সম্ভব হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *