জহিরুল ইসলাম হিরন: সারা বিশ্ব যেমন আজ ইংরেজি নববর্ষ ২০১৫ কে সাদরে বরণ করে নিল। তেমনি ঘড়ির কাঁটা ১২ টা ০১ মিনিট বাংলাদেশ সময় ১০টা ০১ মিনিট আতশ বাজির ঝলকানিতে আলোকিত হয়ে উঠে রাতের মালয়েশিয়া।তবে অন্যান্য বছরের মত এবার এক ঝাঁকজমক করে পালিত হয়নি এবারের ইংরেজী নববর্ষ্,দাতারান মারদেকাও আগের মত এতটা মুখরিত হয়ে উঠেনি।অন্যান্য বছর মারদেকাতে বসতো নববর্ষ্ উপলক্ষে মালয়েশিয়ান বাসীর প্রানের মেলা,থাকতো দেশের প্রধানমন্ত্রী সহ মন্ত্রী সভার অনেকে ।কিন্তু এবার স্বরন কালের ভয়াবহ বন্যা ও ২০১৪ সালে পরপর তিনটি বিমান দুর্ঘ্টনার কারনে মারদেকার সেই জমকালো অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়,যার কারনে ভিড় বেড়ে যায় পর্য্টন মুখরিত কেএলসিসিতে ।তারপরও যথাযথ রীতি অনুযায়ী দুঃখ ,কষ্ট মনে নিয়ে মালয়েশিয়ান বাসী বরণ করল ইংরেজি নববর্ষ ২০১৫।সন্ধ্যা না হতেই মালয়েশিয়া বাসী ছুটে যান মিনারা কেএলসিসি তে।
মালয়েশিয়ান রাস্তা গুলো মালয়েশিয়ান ও পর্য্টকদের পদ চারনায় মুখরিত হয়ে উঠে । যানবহন চলাচল সাময়িক বন্ধ থাকে। ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের বাশির ফুতে চার দিকে কিছু শোনা যাচ্ছে না। বিভিন্ন বাহারি পোশাকে মালয়েশিয়ানরা যেন সং সেজেছে। প্রতি বছর মালয়েশিয়া এই নববর্ষ অত্যন্ত ধুমধাম করে পালন করে। কিন্তু এই বছর তেমন আনন্দ লক্ষ্য করা যায়নি মালয়েশিয়ান দের কাছে। সরণ কালের ইতিহাসে ২০১৪ সাল মালয়েশিয়ানরা সবচেয়ে বাজে বছর পার করেছে। একে একে তিনটা বিমান দুর্ঘ্টনা,তাছাড়া মালয়েশিয়ায় ভয়াবহ বন্যা মালয়েশিয়ান বাসীকে আরো ক্ষতি করে ফেলে। মাস চারেক আগে বুকিত বিনতাং গ্র্যানেড হামলা নিহত হয় কয়েকজন। এখন আর বুকিত বিনতানের সেই আড্ডা আর লক্ষ্য করা যায়না। ক্লাব গুলো আগের মত জমজমাট হয়ে উঠেনি। সব কিছু মিলিয়ে মালয়েশিয়ানদের হাহাকার ,স্বজন হারানোর বেদনা ,২০১৫ কি ভালো ভাবে যাবে কিনা নানা প্রশ্ন সন্দেহ ঘুর পাক খাচ্ছে মালয়েশিয়ান বাসীর কাছে। ভয়াবহ বন্যা করনে নববর্ষ কর্মসূচী মালয়েশিয়া সরকার ততটা পালন করেনি। তারপরও বিদেশীরা ২০১৫ কে বিশ্বের ন্যায় সাদরে গ্রহণ করেছে। মালয়েশিয়ার প্রতীক মিনারা কেএলসিসি ঝন্যা স্পর্ট বিকাল বেলা পর্যটকদের পদচারনায় কলকাকলিতে মুখরিত হয়ে উঠে। ড্যান্সিং ওয়াটারের তালে তালে বিদেশীরা নাচতে শুরু করে। সাথে প্রবাসী বাংলাদেশীরাও যোগ দেয়। ১২ টা ০১ মিনিট অন্যতম আকর্ষণ চোখ ধাঁধানো আতশবাজির প্রদর্শনী পর্যটকদের মুহিত করে। আলোর ঝলকানিতে পুরো কে এল সি সি আলোকিত হয়ে উঠে। মনে হয় যেন এক অন্য জগতে বাস করছে বিদেশীরা।