বগুড়ার পুলিশ সুপার মোজাম্মেল হক বলেন, অস্ত্রধারীরা বারবার জামিনে ছাড়া পেলে কষ্ট লাগে। পুলিশ অনেক ভয়ভীতি ও চাপ সহ্য করে তাদেরকে গ্রেফতার করে। এরপর সাক্ষ্য প্রমাণে যাওয়ার আগেই যখন তারা আদালত থেকে জামিন পেয়ে যায়, তখন অপরাধীরা আর আদালতকে সম্মান দেখাতে চায় না। তারা পুরো পুলিশ প্রশাসনকেও অবজ্ঞার চোখে দেখে।
মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকেলে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। বিভিন্ন সময়ে চুরি হওয়া সাতটি সিএনজি চালিত অটোরিকশা উদ্ধারের প্রেক্ষিতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে পুলিশ।
মোজাম্মেল হক বলেন, সমাজে চিহ্নিত অপরাধীরা পুলিশের হাতে ধরা পড়ে আবার আইনের ফাক গলে বেরিয়ে যায়। এসব আসামির কাছে পুলিশ, আদালত বা কারাগারকে কিছু মনে হয় না।
তিনি বলেন, যেসব গাড়ি ছিনতাই বা চুরি হয় তার প্রায় সবটাই রেজিস্ট্রেশন বিহীন। যদি সব ধরনের যানবাহন কেনার সময় রেজিস্ট্রেশন করার বিধান করতো কর্তৃপক্ষ তাহলে অবশ্যই চুরি ছিনতাই উল্লেখযোগ্য হারে কমে যেত।
এসপি বলেন, বগুড়ার অধিকাংশ সিএনজি অটোরিক্সার রেজিস্ট্রেশন নেই। রেজিস্ট্রেশন বিহীন এসব গাড়িতে অপরাধ করা যেমন সহজ হয়, তেমনি এসব গাড়ি খোওয়া যাওয়ারও আশঙ্কা থাকে বেশি।
সংবাদ সম্মেলনে সিএনজি চালিত অটোরিকশাগুলো উদ্ধারে পুলিশের কৌশলের বর্ণনা দেন মোজাম্মেল হক।