মৃত ঘোষণার তিন ঘণ্টা পর কেঁদে ওঠা সেই নবজাতক শিশুটি অবশেষে মারা গেছে।
মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটি মারা যায়।
শিশুটির বাবা মমিনুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলামেইলকে জানান, গত দুদিন ধরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অনেকটাই সুস্থ হয়ে উঠেছিল আমার ছেলে। কিন্তু বিকেলে হঠাৎ করেই সে মারা যায়। পরে দাফনের জন্য জালালপুরে নিজ বাড়িতে লাশ নিয়ে আসা হয়। সন্ধ্যার পরে তার দাফন সম্পন্ন হয়।
শিশুর বাবা মমিনুরের বাড়ি দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার জালালপুর গ্রামে। তার স্ত্রীর নাম নূরজাহান (২৫)।
গত ২৭ ডিসেম্বর রাতে মমিনুরের স্ত্রী নূরজাহানের প্রসব ব্যথা উঠলে তাকে জয়পুরহাট সদরের পদ্মা ক্লিনিকে ভর্তি করানো হয়। সেখানে পরদিন ২৮ ডিসেম্বর ভোরে ৫টায় পুত্র সন্তানের জন্ম দেন নূরজাহান। কিন্তু সন্তানটির মাঝে জীবনের কোনো সাড়া না পাওয়ায় ক্লিনিকের চিকিৎসকরা নবজাতককে মৃত ঘোষণা করেন। এরপর শিশুটিকে দাফনের জন্য পরিবারের লোকজন জালালপুর গ্রামে নিয়ে আসেন। কিন্তু দাফনের আগে গোসল করাতে নিলে হঠাৎ শিশুটি কেঁদে উঠে। পরে তাকে আবারো ওই ক্লিনিকে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা প্রথমে জয়পুরহাট আধুনিক হাসপাতালে রেফার করেন। পরে শিশুটিকে বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
শিশুটিকে মৃত ঘোষণার তিন ঘণ্টা পর হঠাৎ বেঁচে ওঠার বিষয়টিকে গ্রামের অনেকেই অলৌকিক হিসেবে ধরে নিয়েছিল। শুধু জালালপুর গ্রামই নয় আশপাশ গ্রামের অনেকেই বিস্ময়কার শিশুটিকে শেষবারের মতো দেখা আসেন।